হাওজা নিউজ এজেন্সি: রবিবার (৬ অক্টোবর) কোমের তুলুয়ে-মেহর বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতির সঙ্গে যৌথ বৈঠকে তিনি বলেন— “হযরত ফাতিমা মাসুমা (সা.আ.)-এর উপস্থিতি কোম শহরের জন্য এক অনন্য বরকত। হাদীসে প্রতিশ্রুত মতো একদিন কোম বিশ্বের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হয়ে উঠবে।”
হুজ্জাতুল ইসলাম আলী আব্বাসি আরও বলেন— “আল-মুস্তাফা ও তুলুয়ে-মেহর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতার অসংখ্য সুযোগ রয়েছে। আজকের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে যৌথ কার্যক্রমে নতুন অধ্যায় শুরু হবে।”
একাডেমিক কাঠামো ও বৈচিত্র্য
হুজ্জাতুল ইসলাম আব্বাসি জানান, আল-মুস্তাফা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ছয়টি প্রধান বিভাগে বিভক্ত: কুরআন ও হাদীস, ইতিহাস ও সিরাহ, ফিকহ ও উসূল, দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, ইসলামি মানববিদ্যা, এবং ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি।
তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামী বিপ্লবের পর কোমে ধর্মীয় শিক্ষায় বৈশ্বিক আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭৯ সালে (১৩৫৮ হি.শা.) এই উদ্যোগের সূচনা হয় এবং ২০০৭ সাল থেকে এটি আল-মুস্তাফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নামে সম্প্রসারিত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৩০টি দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করছে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক সংযোগ
হুজ্জাতুল ইসলাম আব্বাসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন মাযহাব ও অন্যান্য ধর্মের শিক্ষার্থীরাও গ্রহণ করে। বর্তমানে এখানে ইসলামি বিজ্ঞান, মানববিদ্যা, ভাষা ও সংস্কৃতি অধ্যয়ন—এই তিনটি ক্ষেত্রে ২০০-রও বেশি বিষয়ে পাঠ্যক্রম চালু আছে। শিক্ষাক্রম হাওযা-স্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয়-স্তরে পরিচালিত হয়। এছাড়া ভার্চুয়াল ইউনিভার্সিটি, স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বিশ্বব্যাপী ফারসি ভাষার প্রসারেও আল-মুস্তাফা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ফারসি ভাষায় দক্ষ হয়ে বিভিন্ন দেশে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে কাজ করছেন।
যৌথ সমঝোতা স্মারক
বৈঠকের শেষে আল-মুস্তাফা, তুলুয়ে-মেহর বিশ্ববিদ্যালয়, আল-মুস্তাফার উচ্চতর কুরআন ও হাদীস শিক্ষা কমপ্লেক্স, এবং ইরানের কুরআন ও মানববিদ্যা রূপান্তর বিষয়ক শিক্ষা সমিতি—এই চার প্রতিষ্ঠান একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য MoU স্বাক্ষর করেছে।
আপনার কমেন্ট